Hijama Health Center trial, hijama health center in kishoreganj |
hijama health center trial, hijama health center in kishoreganj
হাফানী, ফুসফুসের সমস্যা, জোড়া জোড়া ব্যাথা, সকল প্রকারের মাথা ব্যাথা, অধিক ঘুম ইত্যাদি সকল প্রকার রোগের সুন্নতি চিকিৎসা হিজামা কাপিং থেরাপি।
(রোগ, রোগ, রোগ)আমাদের নিজের বা অন্য কোন আত্নীয়-স্বজনেরা যদি কোন রোগে আক্রান্ত হয় তখন এদিক সেদিক চিন্তা না করে প্রথমে আমরা চিকিৎসার কথা চিন্তা করি।কিন্তু তখন এদিক সেদিক চিন্তা না করে রোগ দাতা ও রোগ থেকে আরোগ্য দান কারী একমাত্র আল্লাহ তায়ালার কাছে দু,রাকাত নামাজ আদায় করে কায়মানোবাক্যে রোগ মুক্তির জন্য ফরিয়াদ জানানো, কেননা যিনি রোগ দিয়েছেন অবশ্যই তিনি রোগ থেকে আরোগ্য দান করবেন যদি হায়াত থেকে থাকে।তো আমরা যে সমস্ত রোগে কম বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকি তা নিম্নে দেওয়া হল যথাঃ-
কিডনীর ব্যাথা, জয়েন্টে ব্যাথা, পাথর, কোমরে ব্যাথা, লিভারের সমস্যা, ঘাড়ে ব্যাথা, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যাথা, পায়ে ব্যাথা, হাটুর ব্যাথা, ফোড়া, পাচড়া, অণ্ডকোষ ফোলা, অর্শ, অতিরিক্ত স্রাব নিঃসরণ বন্ধ করা, ত্বকের বর্জ্য পরিস্কার, জ্ঞান এবং স্মৃতিশক্তিহীনতা, রক্ত আমাশা, অধিক ঘুম, বাত, জাদু, আর্থ্রাইটিজ ইত্যাদি।
সুতরাং পৃথীবিতে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য বিভিন্ন প্রকার এবং বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে যা দ্বারা আমারা আল্লাহ তায়ালার রহমতে আরোগ্য লাভ করি।তো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য বহু প্রাচিনতম আরো একটি চিকিৎসা রয়েছে তা হল হিজামাহ যাকে আধুনিক ভাষায় আমরা হিজামাহ কাপিং থেরাপি বলি।আর এই চিকিৎসাকেই বহু দেশে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।আর মেরাজ থেকে আসার সময় ফেরাশতারা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলেছিলেন আপনি আপনার উম্মতদেরকে বেশী বেশী হিজামাহ লাগানোর জন্য বলুন।আর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও হিজামাহ লাগিয়েছেন।
হাদীসটি হলোঃ-
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সা.)-এর (পায়ে) যে ব্যথা ছিল, তার জন্য তিনি ইহরাম অবস্থায় হিজামা লাগিয়েছিলেন। (নাসায়ি, হাদিস : ২৮৫২)
হিজামা কি?
প্রথমে আমাদের জানতে হবে হিজামার শাব্দিক অর্থ এবং পারিভাষিক অর্থ কি?
তো এখন আমরা তা বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
হিজামার শাব্দিক অর্থ-
হিজামা শব্দটি মূলত আরবি শব্দ যা এসেছে আল-হাজম মাছদার বা শব্দ থেকে এর অর্থ হল চোষন করা, টেনে আনা।
পারিভাষিক অর্থ-
পারিভাষিক অর্থে শরীরের সুনির্দিষ্ট কতক স্থানে চামরার উপরে হালকা ক্ষতের সৃষ্টি করে দূষিত ও অকেজো রক্ত কণিকা এবং অনাকাঙ্খিত উপদানকে শরীর থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বের করে আনা।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভিন্ন প্রকার রোগের নিরাময় করতে গিয়ে এই চিকিৎসার তাত্বিক দিকগুলো গবেষনা ও বিশ্লেষন করতে গিয়ে তার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে রীতিমত হতবাক ও আশ্চর্যন্নিত হয়েছেন এবং পূর্বের এই পুরাতন চিকিৎসার প্রতি গভিরভাবে মনোযোগ দিয়েছেন।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আরাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে হিজামাহ
মহান আল্লাহ পাক বলেন,“রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে বারণ করেছেন তা বর্জন করো।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজামাহ দ্বরা নিজে নিয়মিত চিকিৎসা নিয়েছেন।এ ব্যাপারে অন্যদের উৎসাহিত করেছেন,অসংখ্য হাদিসে এর উপকারিতা বর্ণনা করেছেন এবং কিছু কিছু সাহাবী রাঃ কে সুনির্দিষ্ট কিছু রোগের জন্য হিজামাহ লাগাতে আদেশ করেছেন।
হযরত আব্দুল্লহ ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত আছে যে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজামাহ লাগিয়েছেন। হিজামাহ লাগানেওয়ালাকে মজুরীও দিয়েছেন এবং স্বীয় নাকে ঔষধ ব্যবহার করেছেন।(বোখারী-১৯০৮)
সরাসরি হাদিসের ভাষাতে আমরা আল্লাহ তায়ালার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শরীর মোবারকের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে হিজামাহ প্রয়োগের প্রমান পাই। যেমনঃ
হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এহরাম অবস্থায় স্বীয় মাথায় ব্যাথার কারণে মাথা মোবারকে হিজামাহ লাগিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেছেন আল্লাহ তায়ালার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথায় ব্যাথার কারণে মাথা মোবারকে হিজামাহ লাগিয়েছেন।অপর বর্ণানা মতে “আধকপালে” ব্যাথার কারণে হিজামাহ লাগিয়েছেন।(বোখারী-১৬২/৭, আবু দাউদ-১৭৩৬, আহমাদ-১৬৪/৩)
hijama health center trial, hijama health center in kishoreganj
উত্তম সময়
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি (চাঁদের) সতের, উনিশ ও একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগাবে,এ শিঙ্গা তার সকল রোগের (তথা রক্তের চাপের কারণে যেসব রোগ হয়) নিরাময়কারী হবে। (সুনানে আবূ দাউদঃ ৩৮৬১)
এসব হাদীস হাকীম বা চিকিৎসকদের কথাকে সমর্থন করে। তারা বলেন, চান্দ্রমাসের শুরু বা শেষে শিঙ্গা লাগানো থেকে দ্বিতীয় ভাগের শুরুতে তথা তৃতীয় সপ্তাহে শিঙ্গা লাগানো বেশি উপকার। কেননা মাসের শুরুতে রক্তের চাপ থাকে না। মাসের মাঝামাঝি সময়ে চাঁদের আলো বাড়ার সাথে সাথে রক্তের চাপও বেড়ে যায় এবং মাসের শেষের দিকে চাপ কমতে থাকে। তবে প্রয়োজনের সময় মাসের শুরু এবং শেষেও শিঙ্গা লাগানো যায়। (যাদুল মাআদঃ ৫০-৫৪)
উল্লেখ্য, চাঁদের সতের, উনিশ এবং একুশ তারিখে শিঙ্গা লাগানো ভালো, যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই তারিখগুলোতে শিঙ্গা লাগাতেন এবং সাহাবা রাযি. কে হুকুম করতেন। কিন্তু এই তারিখগুলো জরুরী নয়, এটা স্পষ্ট কথা। কাজেই প্রয়োজনে জোড় তারিখগুলিতেও লাগানো যাবে। এটাই হাদীসের ইশারা এবং চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা। কারণ, হাদীসে এই তারিখগুলিকে ভালো বলা হয়েছে; জরুরী বলা হয়নি। (ফাতহুল বারীঃ ১০/১৮৪)
হিজামা লাগানোর মূল ঠিকানাঃ
আমলীতলা (মারকাজ মসজিদ সংলগ্ন) বত্রিশ,কিশোরগঞ্জ
অথবা
কলাপাড়া, গাইটাল, কিশোরগঞ্জ।
যোগাযোগঃ 01625054697, 01714336498
hijama health center trial, hijama health center in kishoreganj